ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ এর কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মোঃ আকবর হোসেন, এসবিপি, এসইউপি(বার), এএফডব্লিউসি, পিএসসি -কে আজ মঙ্গলবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদোন্নতি পেয়েছেন । তাকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি), মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট -এর নুতন কমান্ড্যান্ট নিযুক্ত করা হয়েছে।
আর এনডিসির কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানকে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ( সিজিএস) নিযুক্ত করা হয়েছ। এরআগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল শফিকুর রহমান সরকারী চাকরির মেয়াদ শেষে গত ৩১ ডিসেম্বর অবসরে গেছেন ।
মেজর জেনারেল আকবর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ এর কমান্ড্যান্টের আগে ৯ম পদাতিক ডিভিশন ( সাভার ) -এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি ), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) ডিজি এবং স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর ডিজি ছিলেন।তিনি একটি আর্টিলারি ব্রিগেড ও এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি (এডিএ) ব্রিগেড কমান্ড করেন।
আকবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রিমাউন্ট ভেটেরিনারি এন্ড ফার্ম কোর (আরভিএন্ডএফসি) এর “১ম কর্নেল কমান্ড্যান্ট”।এছাড়া তাঁর অধীনে ডিজিএফআই এর একটি নতুন মনোগ্রাম ডিজাইন করা হয়েছিলো।
১৯৬৫ সালে নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করা আকবর হোসেন
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে পড়েছেন। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)’র ত্রয়োদশ লং কোর্সের ক্যাডেট হিসেবে ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে (গোলন্দাজ বাহিনী) কমিশন পান।তিনি সৎ দক্ষ মেধাবী এবং চৌক্ষস সেনাকর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের দিন থেকে আকবর হোসেনের পদোন্নতি কার্যকর হবে বলে সরকারের আদেশে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) কমান্ড্যান্ট পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেলের আগে তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)’র ১১তম লং কোর্সের ক্যাডেট হিসেবে ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন পাওয়া এই সেনা কর্মকর্তা গত বছরের মার্চে বিইউপি উপাচার্যের আগে তিনি যাশোরে সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং ঢাকার এরিয়া কমান্ডার (লজিস্টিকস) হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
রামু সেনানিবাসের দশম পদাতিক ডিভিশনের প্রথম জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই জেনারেল সেনা সদর দপ্তর, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড হেডকোয়ার্টারের কম্বাইন্ড প্ল্যানিং গ্রুপ এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সেও কাজ করেছেন। এছাড়া ইরাকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন একজন সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার হিসেবে।
১৯৬৬ সালে নরসিংদী জেলায় জন্মগ্রহণ করা সারওয়ার হাসান বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও ঢাকা কলেজের লেখাপড়া শেষ করে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
বাংলাদেশের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের গ্র্যাজুয়েট সারওয়ার হাসান ব্রাজিলের স্টাফ কলেজে পড়তে গিয়ে পরে পর্তুগিজ ভাষাও শিখেছেন।
নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে তিনটি মাস্টার্স করা এই সেনাকর্মকর্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিকিউরিটি স্টাডিজে পিএইচডি করেছেন।
লে: জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানের স্ত্রী ফারজানা হাসান শহীদ আনোয়ার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। তারা দুই ছেলের জনক-জননী।